দলটির দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে এই প্রথম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্মরণকালের বৃহৎ সমাবেশ করছে জামায়াত। আগামী জাতীয় নির্বাচন ও গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্যের পাশাপাশি গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হঠাৎ তৈরি হওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এই সমাবেশ হচ্ছে। সমাবেশে বড় ধরনের জমায়েত নিশ্চিত করতে রেলপথ, নৌপথ ও সড়কপথে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে দলটি।
এর আগে, সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের সমাবেশ শুরু হয়।সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন সাইফুল্লাহ মনসুর।
জামায়াতে ইসলামি জানিয়েছে, এই সমাবেশে তাদের মূল দাবি হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা, মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রভৃতি।
এই সমাবেশ উপলক্ষে গতকাল সন্ধ্যা থেকেই সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন দলটির নেতাকর্মীরা। আজ সকাল থেকেও রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে মিছিল নিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের সমাবেশস্থলের দিকে যেতে দেখা গেছে। সকালেই গোটা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ভরে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে আসতে থাকা নেতাকর্মীদের এত ভীড়ের চাপে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের সড়ক ও কারওয়ানবাজার থেকে শাহবাগ মোড় পর্যন্ত তীব্র যানজট রয়েছে। এ ছাড়াও, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
যাত্রাবাড়ীর এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, মহাসড়কের বেশিরভাগ যানবাহনই জামায়াতের সমাবেশে যাওয়া নেতাকর্মীদের বহনকারী বাস। সমাবেশের পথে বিপুল সংখ্যক মাইক্রোবাসও দেখা গেছে। এ ছাড়া, ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, চিটাগাং রোড, সোনারগাঁও ও মদনপুরসহ বিভিন্ন রুটে বাসের সংকট দেখা দিয়েছে।